এমন পরিস্থিতিতে শোচনীয় অবস্থায় আছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। প্রখর রোদের মধ্যে কাজ করে অনেকেই ইতোমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন।
রিকশা চালক হুমায়ুন কবির বলেন, অসহ্য গরমে আর সম্ভব হচ্ছিল না রিকশা চালানো। তাই গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। অসহ্য গরমে রিকশা চালাতে আর পারছি না। কিছুক্ষণ চালালে যেন পানির তৃষ্ণা পায়।
বর্তমানে নেই বাতাস, ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসও অসহ্য গরম। বাইরের অবস্থা আরও ভয়াবহ, রোদের তাপ, আর গরমে শ্রমজীবী মানুষের যেন নিস্তার নেই। ঘেমে একাকার, অসহ্য গরমে যেন নাভিশ্বাস উঠেছে লালমনিরহাটবাসীর। শুধু যে কেবল শহরের এ অবস্থা তা নয়, গ্রামেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সকাল ৮টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তীব্র গরমে সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
চর কুলাঘাট এলাকার বাসিন্দা এস এম হাসান আলী বলেন, বাইরে প্রখর তাপ, ঘরেও শান্তি নেই। গোসল করে শরীর ঠাণ্ডা করার উপায়ও নেই।
লালমনিরহাট জেলা শহরের বড় মসজিদ রোডস্থ ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, সারাদিন দোকানে বসে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা তেমন নেই। গরমের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতেই চাইছে না। নিতান্ত কাজ না থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।
গরমে শিশুদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এছাড়াও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-কাশিতে।
বাড়ছে পাখা-এসি বিক্রিঃ প্রখর তাপে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ ঘরেও টিকতে পারছেন না। একটু স্বস্তির জন্য গরীব-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ ছুটছেন বৈদ্যুতিক পাখা কিনতে।